ঈদুল আযহার শুভেচ্ছায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত নেতৃবৃন্দ
ঈদুল আযহা আমাদের ত্যাগ ও কুরবানির আদর্শে উজ্জীবিত করে
সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ, শোষণমুক্ত ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মু. নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
যৌথ শুভেচ্ছা বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলিম জাতির পিতা “হযরত ইব্রাহিম (আ:) ও তাঁর প্রিয় সন্তান হযরত ইসমাঈল (আঃ) এর স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের সামনে সমাগত। ঈদুল আযহা আমাদেরকে ত্যাগ ও কুরবানির আদর্শে উজ্জীবিত করে। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারই উদ্দেশ্যে নিজের প্রিয় বস্তুকে বিলিয়ে দেওয়ার চেতনা জাগ্রত করে। সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ, শোষণমুক্ত ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় কুরবানি মুসলিম উম্মাহকে অনুপ্রেরণা দেয়। ত্যাগ ও কুরবানির মানসিকতা নিয়ে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। আর এর মাধ্যমেই কেবল মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
শুভেচ্ছা বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশবাসী এবার ঈদুল আযহা এমন একটি পরিস্থিতিতে উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। সীমাহীন লুটপাট, অর্থ পাচার ও অব্যবস্থাপনার ফলে দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, দুর্নীতি, হত্যা, গুম, খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি সমাজ জীবনকে অতিষ্ট করে ফেলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে চলে গিয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা এক ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে অথচ রাতের ভোটে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের এদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। আমরা লক্ষ্য করছি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বর্তমান সরকার ও বিরোধীদল সহ দেশের জনগণ বিপরীত অবস্থানে রয়েছে। সরকারের একগুঁয়েমী ও আবারো জোর করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থেকে একতরফা ব্যালট ডাকাতির নির্বাচন করার পরিকল্পনার কারণে দেশ এক কঠিন পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এদেশের মানুষ সরকারের সেই নীল নকশা আর বাস্তবায়ন হতে দিবেনা। সকল রাজনৈতিক দল মতের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে দেশে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করে একটি অবাধ, নিরেপক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের বিরোধী মতকে দমন পীড়ন নীতির কারণে দীর্ঘ সময় ধরে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ দেশের বরেণ্য আলেম ওলামারা কারাগারে বন্দি রয়েছে। আমরা পবিত্র ঈদুল আযহার পূর্বেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহামান, বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, নায়েবে আমীর ও সাবেক সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এটিএম আজহারুল ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহা. সেলিম উদ্দিন সহ কারাবন্দী সকল আলেম-ওলামা, বিরোধী দল মতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি। গ্রেফতার ও নির্যাতনের মাধ্যমে মানুষের কণ্ঠরোধ করা যাবেনা।
পরিশেষে নেতৃবৃন্দ নগরবাসী সহ সকলের সুখ-সমৃদ্ধি এবং সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তি কামনা করেন এবং সবাইকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রেখে স্বাস্থ্য সচেতনতার সাথে কুরবানীর ঈদ উদযাপন করতে আহবান জানান।