বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি গণমানুষের নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ রাজধানীতে অগ্রসর কর্মী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, একটি দেশপ্রেমী সংগঠনের কর্মী হিসেবে আমরা জাতীয় যেকোনো সংকট উত্তোরণে জনগণের পাশে থাকতে অঙ্গিকারাবদ্ধ। সংগঠনের কর্মী হিসেবে আমাদের অঙ্গিকার হচ্ছে যেকোনো পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং এটাই প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর সাহাবী তথা সত্যিকার ঈমানদারদের বৈশিষ্ট্য। তাওফিক কামনা করছি মহান আল্লাহ যেন আমাদের এই আকিমুদ্বীনের হক পালনের প্রচেষ্টা কবুল করেন। আমরা যে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বসবাস করছি, যে দেশ রাষ্ট্র সমাজে আমাদের অবস্থান। বাহ্যিক দৃষ্টিতে হতে পারে এটা চরম প্রতিকূল পরিবেশ বা সংকটাপূর্ণ পরিস্থিতি। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স) অনেক আগেই এমন পরিস্থিতির ভবিষ্যত বাণী করে গিয়েছেন। ‘আমার অনুপস্থিতিতে আমার উম্মাহর সামনে এমন পরিস্থিতি আসবে, সেই সময়ে উম্মাহ তিন ভাগে বিভক্ত হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় কেউ কেউ বাতিলের সাথে আপস করে ফেলবে। অথচ তারা নিজেকে ঈমানদার বলে দাবি করবে! নামাজ পড়বে, হজ¦ করবে, দান-সদকা সবই দিবে, যাকাত দিবে কিন্তু ভিতরে ভিতরে নিজেদের সুবিধা মতো যতটুকু ইসলাম পালন করা যায় ততটুকুই করবে। এরা বাতিলের সাথে পুরোপুরি মিশে থাকবে। এই পরিস্থিতে একজন ঈমানদারকে যাচাই-বাছাই করতে হবে আমি নিজেও কি পরিস্থিতিতে হারিয়ে যাচ্ছি কিনা। আমিও কি বাতিলের সাথে মিশে যাচ্ছি, সর্বক্ষেত্রে পর্যালোচনা করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কদমতলী থানার উদ্যোগে অগ্রসর কর্মী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর মীর বাহার আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি মুহাম্মদ জুনাইদের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে আরো উপস্থিত ছিলেন অফিস সম্পাদক মাওলানা কামারুজ্জামান সহ থানার কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, যারা প্রিয় নবী (স) এর সাথে থেকে দরবেশগীরী করেছেন তারা সকল বাঁধাকে মাড়িয়ে সংগ্রামের পথে ঈমানের উপরে মজবুত ছিলেন। তারা হতাশ হয়নি, কোনো কিছুতে ভেঙ্গে পড়েনি। ঈমানদার শোষন-শাসন, বেহায়াপনা কোনো কিছুর সামনে দুর্বল হবে না। প্রত্যেককে ঈমানের দায়িত্ব নিতে হবে। সুরা তওবার ৫১ নং আয়াত অধ্যয়নের অনুরোধ রইলো। “হে মুহাম্মদ বলে দাও, আমার কাছে কোনো দুঃখ দুর্দশা মুসিবত পৌঁছতে পারে না। যা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত রয়েছে তা ব্যতিত।” সুতরাং ঈমানদার এসব কিছুর পরওয়া করে না। কারণ আমার মাওলা এখানকার ডিসি সাহেব-মন্ত্রী সাহেবরা নন। বিশ্বাসের যায়গাটা সব সময়ে পরিস্কার রাখতে হবে। কোনো ঈমানদার বলে না আমি পরিস্থিতির শিকার বরং রাসূল (স) এর সাথে যারা এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ছিলেন তারা বলেছেন এখন আমাদের বাইয়াত শপথ অঙ্গিকার হচ্ছে এই পরিস্থিতিকেই আমরা শিকার করবো। পরিস্থিতির কাছে আমরা নতি-শিকার করবো না। আমরা যদি মজবুত ভাবে সেই ঈমানের উপরে টিকে থাকতে পারি, একটু দাঁড়িয়ে যায় ইনশাআল্লাহ সকল প্রতিকূলতা ঈমানদারের কাছে নতি শিকার করে পায়ে লুটিয়ে পড়বে। আজকে সেই ঈমানদার আমরা তৈরি হতে পারলে শুধু বাংলাদেশ না গোটা বিশ্বের পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসতে বাধ্য হবে ইনশাআল্লাহ।