বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, পরিচ্ছন্ন ঈমানের জন্য প্রয়োজন পরিচ্ছন্ন ইলমি যোগ্যতা। ঈমান যার পরিচ্ছন্ন, আমলও তার পরিচ্ছন্ন হবে। এজন্যই মহান আল্লাহ মানুষের প্রয়োজনে কুরআন নাযিল করে প্রথম বলেছেন ‘ইক্বর’ পড়ো অধ্যয়ন করো। জেনে বুঝে আমলে পরিণত করার অর্থই হচ্ছে পরিপূর্ণ ঈমান অর্জন করা। জামায়াতে ইসলামীর রুকনিয়াতকে অর্থবহ করার জন্য কুরআনের জ্ঞান অনুযায়ী তা আমলে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমলিয়াতপূর্ণ একজন ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র তৈরি করা সম্ভব হলেই কেবল সবখানে পরিচ্ছন্নতা পরিলক্ষিত হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের খিলগাঁও পূর্ব থানার উদ্যোগে আয়োজিত ষান্মাসিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও খিলগাঁও পূর্ব থানা আমীর আব্দুর রহমান সাজু’র সভাপতিত্বে এবং খিলগাঁও পূর্ব থানা সেক্রেটারি আজম ফারুকের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও অত্র খিলগাঁও জোন পরিচালক মাওলানা আবু ফাহিম। আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও খিলগাঁও পশ্চিম থানা আমীর আব্দুল্লাহ আলামিন, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও খিলগাঁও উত্তর থানা আমীর আসিফ আদনান, মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও খিলগাঁও মধ্য থানা আমীর মাহামুদুর রহমান সহ থানা জোনের স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে আজ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানার উদ্যোগে স্থানীয় একটি মিলনায়তনে আয়োজিত দিনব্যাপি অগ্রসর কর্মী শিক্ষাশিবিরেও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানা আমীর শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমানের পরিচালনায় উক্ত শিক্ষাশিবিরে আরও উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ী পূর্ব থানা নায়েবে আমীর মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম, থানা কর্মপরিষদ সদস্য কবির হোসেন মোল্লা, মোজাম্মেল হক পাটোয়ারী, মুজিবুল হক জামিল প্রমুখ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার মেধাবীদের বঞ্চিত করতেই কোটা পদ্ধতি বহাল রেখেছে। এই আওয়ামী লীগ সরকার তারাও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের কোটায় এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে পদদলিত করতেই তারা আজ ছাত্র-জনতা সকল নাগরিকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এবং জনগণের পছন্দের সরকার দেশে প্রতিষ্ঠা করতে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে গণআন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার দেশকে গভীর সংকটে নিমজ্জিত করেছে। তারা দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার হরণ করেছে। কোটা পদ্ধতি বহাল রেখে মেধাবীদের সাথে চরম প্রতারণা করছে। দেশের জনগণ প্রহসনের নির্বাচনে ভোট বর্জন করে আওয়ামী লীগকে চরম তিরস্কার জানিয়েছে। অথচ শেখ হাসিনার সরকার জোর করে, একগুয়েমী করে নির্বাচনের নামে তামাশা করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে আছে। তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে দৃঢ় মনোবল ও সাহসিকতার সাথে ময়দানে ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে নিজেদেরকে জান্নাতের উপযোগী করার পাশাপাশি এদেশে ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য আল্লাহর শর্ত গুলো পূরণে আমাকে ব্যাকুল থাকতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী ও বিজয়ী আন্দোলনে পরিণত করতে নিজেদের গণমুখি চরিত্রকে উদ্ভাসিত করতে হবে। সমাজের সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে জামায়াতের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। নিজেদের পরিশুদ্ধ করে জান-মালের বিনিময়ে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।