বাউফলের নারায়ণপাশা জামে মসজিদে ইসলামিক আলোচনা করতে গেলে মসজিদের ভিতরে ইমামের উপর আক্রমণের চেষ্টা করে ছাত্রদল নেতা রাসেল। পরে মুসল্লীদের বাঁধার মুখে রাসেল আক্রমণ করতে পারেনি। পরবর্তীতে শনিবার দুপুরে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমীরাবাদ বাজারে ঐ মসজিদের ইমাম মাওলানা মনিরুজ্জামান অজিবুল্লাহকে একা পেয়ে কনকদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে ছাত্রদল কর্মী রাসেল ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মিরাজের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দল আমীরাবাদ বাজারে ইমামের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এসময় হামলাকারীরা ইমামের দাড়ি টেনে-টেনে ছিঁড়ে ফেলে। হামলাকারী বিএনপির নামধারী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ইমামকে উদ্ধার করতে স্থানীয় জামায়াতের কর্মী মো. নাঈম আবদুল্লাহ (৩০) ও আল-আমিন (২৮) এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। বর্তমানে মসজিদের ইমাম সহ আহত ৩ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় মসজিদ পরিচালনা কমিটি, মুসল্লী ও স্থানীয় জনতা তীব্র নিন্দা জানিয়ে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি নামধারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ডক্টর শফিকুল ইসলাম মাসুদ রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আলেমদের ওপর জুলুম করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ টিকতে পারেনি। এখনো যারা আলেমদের গায়ে হাত দেয় বা দিবে তারাও টিকতে পারবে না। তিনি স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মসজিদ ইমাম সহ ৩ জনের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। নয়তো যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এর সমস্ত দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।