বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ডক্টর শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলছেনে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা চালাতে যইে সকল ব্যবসায়ী শখে হাসনিাকে উৎসাহ, প্ররেণা ও অর্থের যোগান দিয়েছে, তাদেরও বিচার করতে হবে। তারাও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর। ০৩ আগস্ট সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর জনগণের রক্ত চোষা ব্যবসায়ীরা শেখ হাসিনা সাথে মতবিনিময় করে বলেছেন, যে কোন কিছুর বিনিময় ব্যবসায়ীরা শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখবে। এজন্য যা যা করার তারা সবই করবে। এর আগে ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে আওয়ামী লীগকে মাঠে নামতে হবে না শুধু ছাত্রলীগই যথেষ্ট। একদিকে ব্যবসায়ীদের অর্থের যোগান অপরদিকে ওবায়দুল কাদেরের উৎসকানি দুয়ে মিলে শুরু হয় গণহত্যা মহোৎসব। শনিবার রাতে রাজধানীর পল্টন চায়না টাউন ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মাসুদ আরো বলেন, গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের দলীয় ব্যবসায়ী নামের কষাই ব্যতিত কোন ব্যবসায়ী নিরাপদে ব্যবসা করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাসীরা ব্যবসায়ীদের সংগঠন দখল করে রাষ্ট্রীয় মদদে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংক লুটপাট করেছে। মানুষ এখন নিজের আমানতে টাকা তুলতে গিয়ে ব্যাংকে টাকা পাচ্ছে না। সব টাকা আওয়ামী লীগ বিদেশে পাচার করে নিয়ে গেছে। অব্যবসায়ীদের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা বানিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা মূলক ব্যবসায় অংশগ্রহন করতে পারেনি। সুযোগটি ভারতকে কাজে লাগাতে সবধরনের সহযোগিতা করেছে আওয়ামী লীগ। ভারত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছে। ভারতে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সহযোগিতা করে হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। আগামীতে জনগণ সুযোগ দিলে জামায়াতে ইসলামী অর্থনৈতিক মেরুদন্ডহীন বাংলাদেশকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশে রূপান্তর করতে পারবে। কারণ জামায়াতে ইসলামীর হাতে দেশ পরিচালনা হলে জনগণের এক টাকাও বিদেশে পাচার হবে না। ল্টুপাট আর চাঁদাবাজি থাকবে না। ফলে একটি কল্যাণ ও আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে সহজ হবে। অন্যরা ক্ষমতা দখলের আগেই চাঁদাবাজি, দখলবাজি শুরু করে দিয়েছে। নিজেরা নিজেরাও দ্বন্ধে লিপ্ত হতে শুনা যায়। আবার কিছু মিডিয়াও দখল করে নিজেদের লোক বসাচ্ছে, যাতে করে তাদের অপকর্ম জনগণের সামনে প্রকাশ না হয়। তবে জনগণ বুঝে গেছে, কে ক্ষমতা গেলে ল্টুপাট করবে আর কে ক্ষমতা গেলে রাষ্ট্র গঠন করবে। ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি দেশ গঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে ব্যবসায়ীরা। তাই নতুন বাংলাদেশ গঠনে জামায়াতে ইসলামীকে সহযোগিতা করতে তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
চায়না টাউন ওয়ার্ডের সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদারের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী গাজী তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পল্টন দক্ষিণ থানা আমীর শাহীন আহমদ খান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রব, এডভোকেট মারফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান শাহিন, মোহাম্মদ আল-আমিন রাসেল, আব্দুল গফুর ভূঁইয়া সহ চায়না টাউন ওয়ার্ডের ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।