পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দিনভর ব্যাপক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকালে বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের রাধা মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর ভাবনা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সামনে তুলে ধরেন। রাধা মন্দিরের সভাপতি সুভাস মণ্ডল উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের পক্ষ থেকে আগামীতে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।


পরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড কর্তৃক আয়োজিত মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। এসময় তিনি উপস্থিত নারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে নারীদের স্বাধীনতা, অধিকার ও মর্যাদা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা হবে।” জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা দিয়ে তিনি বলেন, ইসলাম ব্যতীত কোনো ধর্ম বা বিধান নারীদের এভাবে সম্মানিত ও মর্যাদাবান করেনি। আল্লাহর আইনে নারী-পুরুষ কিংবা ধর্ম-বর্ণের কোনো বৈষম্য নেই। আল্লাহর আইনে মানুষ হিসেবে সকলেই সমান। তাই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে দলমত-ধর্মবর্ণ-জাতিগোষ্ঠীর বৈষম্য দূর করতে হবে। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়।

বিকেলে কালাইয়া বন্দরে জামায়াতের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “আল্লাহর জমিনে আইন চলবে আল্লাহর।” মানব রচিত আইনে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি, হবেও না। তিনি আরও বলেন, দ্বীন কায়েমের আন্দোলন নারী-পুরুষ সকলের জন্য ফরজ। এই ফরজ বিধান পালনে মাল ও জান কুরবানি করা আল্লাহর আদেশ। আগামী নির্বাচনকে দ্বীন কায়েমের চূড়ান্ত কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে যা যা করণীয় তার সবটুকু করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিমুক্ত একটি কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায় উল্লেখ করে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের অতীতের মতো জনগণের যেকোন প্রয়োজনে পাশে থাকার আহ্বান জানান।
