বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, সরকার করোনা মহামারী থেকে মানুষকে রক্ষার জন্য লকডাউন দিলেও তাদের খাবারের সমস্যার কোন সমাধান করেনি, যা অমানবিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। বিশেষভাবে ঢাকা মহানগরীর স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এ লকডাউন মরণফাঁদ হিসেবে পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও নিন্ম আয়ের মানুষের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তারা বাসা ভাড়া, দোকান ভাড়া, খাবার খরচ যোগাতে না পেরে মারাত্মক কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এ সকল মানুষের জন্য সরকার কোন সাহায্য সহযোগিতা করেনি।
আজ রবিবার রমনা থানা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে সাহরি ও ইফতারের ফুড প্যাকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমির ও মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য আবদুস সাত্তার সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন রমনা থানা সেক্রেটারি আবু আশরাফ, থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা মারুফুল ইসলাম, মাওলানা মিরাজুল ইসলাম শামীম, রাজিবুল ইসলাম, যুবনেতা আকবর হোসেন, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ইসলাম মানবতার কথা বলে ফলে জামায়াতে ইসলামী যে কোন দুর্যোগে দেশের মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। গত বছর করোনার শুরু থেকে অদ্যাবধি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কয়েক হাজার অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহযোগিতা প্রদান, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের মাঝে পুজিঁ হিসেবে নগদ অর্থ প্রদান, রিক্সা ও ভ্যান বিতরণ, ফ্রি এম্বুলেন্স সার্ভিস, আত্মকর্মসংস্থানে সহযোগিতা সহ নানামুখী কর্মসূচী পরিচালনা করে আসছে। সরকার আমাদের এসব কল্যাণমূলক কাজকেও নির্বিঘ্নে করতে দিচ্ছে না। সরকার নিজেও মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না, আমাদেরকেও কাজ করতে দিচ্ছে না। তিনি সরকারকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও চাকরিহারা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহবান জানান।
তিনি আরোও বলেন, এই রমজান মাসে সরকার নগ্নভাবে দেশের সম্মানিত আলেম ওলামাদের গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। পবিত্র এই মাসে ইসলামী ব্যক্তিত্বদের এভাবে হেনস্থা করে সরকার তার ফ্যাসিবাদী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। তিনি অবিলম্বে আলেম ওলামা সহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য যে, আজ রমনা থানার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ১০০টি পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ২ কেজি তেল, ২ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি মসুল ডাল, ১ কেজি ছোলা, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি খেজুর।