বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সূত্রাপুর জোন, নিউমার্কেট থানা, মতিঝিল উত্তর ও পূর্ব থানার উদ্যোগে জুমাবার রাজধানীর বিভিন্ন মিলনায়তনে পৃথক পৃথক কর্মী শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষাশিবির গুলোতে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মীকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের গোলামী করার জন্য সবসময় আত্মনিবেদিত থাকতে হবে। এজন্য কুরআনের বিধানের আলোকে নিজেকে প্রস্তুত ও দুনিয়ার পরিবর্তন সাধন করার যোগ্যতা অর্জন করে দেশ, সমাজ ও জাতি গঠনে আরও বলিষ্ঠ অবদান রাখতে হবে। কর্মীদের ত্যাগ তিতিক্ষার বদৌলতে মহান আল্লাহ তায়ালা চাইলে চরম কঠিন অবস্থার পরে আমাদেরকে সহজ স্বাভাবিক পরিবেশ উপহার দিতে পারেন। সে প্রত্যাশা পূরণে আমাদের ব্যক্তিগত মানউন্নয়নের পাশাপাশি সংগঠনের যাবতীয় কর্মতৎপরতায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। একইসাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে যাবতীয় প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে ইসলামের সুমহান আদর্শের ভিত্তিতে একটি কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কুরআন ও সুন্নাহ এর আলোকে উদ্দীপ্ত ও পাগলপারা একদল দুঃসাহসী কর্মীর প্রয়োজন। যারা হবেন সত্যিকার অর্থে কর্মঠ, উদ্যোমী ও মানুষের কল্যাণে সদাতৎপর। একটি আদর্শবাদী সংগঠনের কর্মী হিসেবে আমাদের মানুষের প্রয়োজনে পাশে থেকে কাজ করে যেতে হবে। তিনি দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত কর্মীদেরকে সমাজের সকল মানুষের কাছে ইসলামের সৌন্দর্য ও সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার উদাত্ব আহবান জানান।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করে নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে হবে। তিনি বাইয়াতী জীবন তথা শপথবদ্ধ জীবনের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি অন্ধ সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাকতুমের যুদ্ধে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষার উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে মাকতুমের থেকে শিক্ষা নিয়ে যদি নিজের জীবনকে ইসলামের জন্য উৎসর্গ করতে পারি তাহলেই ইসলাম বিজয়ী আদর্শ হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জামায়াতের কর্মীদেরকে সকল প্রকার বিভ্রান্তির মোকাবেলায় ভারসাম্যপূর্ণ পন্থা অবলম্বন করে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য উদাত্ব আহবান জানান।