রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান মালিক-কর্মচারীদের সাথে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত মোরসালিন ও নাহিদ এর পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা ও সান্তনা প্রদান করতে তাদের পরিবারের কাছে ছুটে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জননেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি আজ ২৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা সহ অন্যান্য সামগ্রী তুলে দেন। ঢাকা মহানগরী মজলিশে শুরা সদস্য ও কামরাঙ্গীরচর থানা আমীর মজিবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফার পরিচালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী জাবিবুর রহমান, মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রমূখ জামায়াত নেতৃবৃন্দ। সেখানে নিহত নাহিদ হোসেন (২০) ও মোরসালিন (২৬) এর শোকাহত পরিবারের সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বাংলাদেশে আজ বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলে দেশের নাগরিকবৃন্দ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। ক্ষমতাসীন সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার দোহাই দিয়ে ১৯৭১ সালের সম্পুর্ণ মিথ্যা অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে। অথচ আজ প্রকাশ্য দিবালোকে পথে ঘাটে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। অথচ ভুক্তভোগী পরিবার এই অবৈধ সরকারের কাছে বিচারের দাবি পর্যন্ত করছে না। কারণ দেশের মানুষের বুঝতে বাকি নেই যে এই ভোটারবিহীন ও জনসমর্থনহীন সরকারের কাছে বিচার চেয়ে কোন লাভ নেই বরং তারা এদেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। বিচার চাই না’ দেশের মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মাঝে সহজ স্বীকারোক্তি দিয়ে এই জুলুমবাজ সরকারের কবল থেকে মুক্তি চাই।
তিনি আরও বলেন, রাসুল সা. একদল যোগ্য লোক তৈরী করে সোনার মদিনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, আমরাও একইভাবে সেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে রাসুল সা. এর আদর্শের আলোকে সোনার মানুষ তৈরি করতে চাই। যাদের দ্বারা দেশ ও জাতি সত্যিকার অর্থে কল্যাণ লাভ করবে। জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের ন্যায়সঙ্গত সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তাই দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য যোগ্য ও নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ তৈরির কাজ আমরা করে যাচ্ছি। আল্লাহর দ্বীন এই জমিনে বিজয়ী হলে দেশের প্রতিটি নাগরিক তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ।