বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি এবং বাউফলের গণমানুষের নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ গত ২৪ শে অক্টোবর সারাদেশে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলাবাসীদের মাঝে গৃহনির্মাণে নগদ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে বলেন, আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বাউফলে বিভিন্ন সময়ে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করেছি। বাউফলের জনগণের যেকোনো দুর্যোগে-দুর্ভোগে আমরা পাশে আছি থাকবো ইনশাআল্লাহ। সেজন্য এ ধারাকে আরো বেগবান করতে বাউফলবাসীকে আগামী দিনে যোগ্য নেতৃত্বকে বেঁছে নিতে হবে এবং সামনে নেতৃত্ব নির্বাচনের যে সুযোগ আসবে তা যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করতে বাউফলের সাধারণ জনগণের প্রতি তিনি ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার উদাত্ত আহ্বান জানান।
জামায়াতে ইসলামী বাউফল উপজেলার উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এ ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহনির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসময় গণমানুষের নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘর পরিদর্শন করেন, যাদের খামার ক্ষেত নষ্ট হয়েছে খোঁজখবর নিয়ে তাদের মাঝে সহায়তা তুলে দেন, যাদের খামার পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে, বিভিন্ন ফসলী জমি নষ্ট হয়েছে এমন ৩৫ টি পরিবারকে নগদ আর্থিক সহযোগিতা সহ নানা উপকরণ বিতরণ করেন।
বাউফল উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যাপক খালিদুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও পটুয়াখালী জেলা আমীর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সমাজসেবক অধ্যাপক শাহ আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক খালিদ সাইফুল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পটুয়াখালী জেলা সভাপতি আলী আজগর, সেক্রেটারি মাহদী হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাউফল উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম শাখা শিবিরের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ওলামায়েকেরাম ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদগণ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বাউফল উপজেলাবাসীর সকল দুঃখ কষ্টে আমরা মানুষের পাশে রয়েছি। আল্লাহর কাছে আমরা সাহায্য চাই, তিনি যেন আমাদেরকে এধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করেন। আমরা আমাদের ভালো কাজের মাধ্যমে এজাতীয় বিপদ মুসিবত থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাওয়ার জন্য সকলে অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবো। সেই সাথে সমাজে সৎ, দক্ষ, যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে, মহান আল্লাহর ওয়াদা হচ্ছে তিনি আমাদেরকে এধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং তিনি তার রহমত-বরকতের দরজা সমূহ খুলে দিবেন। সুতরাং সমাজে আল্লাহর রহমত ও বরকতের দরজা উম্মুক্ত হওয়ার প্রত্যাশায় সবাইকে এগেিয় আসতে হবে। গুঞ্জন উঠেছে দেশে দুর্ভিক্ষ হতে যাচ্ছে। আসন্ন এই দুর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি পেতে সবার আগে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। সমাজে সৎ নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। আল্লাহর যেসব আদেশ রয়েছে তা পালন করতে হবে এবং যা নিষেধ রয়েছে তা পরিহার করতে হবে। তাহলেই কেবল আগামী দিনে যে খাদ্যের সংকট বা নিরাপত্তার সংকট হবে তা আল্লাহ নিজেই দায়িত্ব নিবেন এবং সহজ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।