বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি ইসলামী কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা, নৈতিক অবক্ষয়রোধ, দারিদ্র্য বিমোচন, রাজনৈতিক দমন পীড়ন বন্ধ, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন, বিদ্যমান বৈষম্য ও বেকারত্ব দূরীকরণে জামায়াত তার নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার পূনরুদ্ধার ও দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ কারিগর ছাত্রসমাজকে ইসলাম বিমুখ করার ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জামায়াতে ইসলামী জনগণের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার সর্বস্তরের জনশক্তিকে নৈতিক শক্তি, মৌলিক মানবীয় গুণাবলী ও জাগতিক উপায় উপকরণে শানিত করে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের যোগ্য করে গড়ে তুলছে। ‘জামায়াত কর্মী মানেই সমাজ কর্মী’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা সমাজকল্যাণ ও জনকল্যাণমূলক কাজের মাধ্যমে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত, অসহায় ও মজলুম মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে সদা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শাহবাগ পশ্চিম থানার উদ্যোগে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত সক্রিয় সহযোগী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শাহবাগ পশ্চিম থানার আমীর এড. শাহ মো. মাহফুজুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি ডা. মেসবাহ উদ্দিন সায়েম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সক্রিয় সহযোগী সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি অফিস সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আলফেসানী, লোকমান হোসাইন, তানভীর আহমেদ, আলমগীর হোসাইন, ড. দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ, লুৎফর রহমান এবং ওয়ার্ড দায়িত্বশীল আজিজুর রহমান, ফয়সাল আনোয়ার, শাফিউর রহমান, ইউনুস ওয়াহেদী, নুরুল্লাহ মুহিত, শেখ রহমান জনি, রাফে সালমান রিফাত প্রমূখ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমাদের এই দেশ আজ দুর্নীতি, সামাজিক অবক্ষয় ও অনৈতিকতার গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত। এমতাবস্থায় জামায়াতে ইসলামী আলোকবর্তিকা হিসেবে অন্ধকারাচ্ছন্ন এই সমাজ ব্যবস্থাকে আলোকিত করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এদেশের মানুষ তার নিজ প্রয়োজনেই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের খুঁজে ফিরবে। দেশের আপামর জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া বিকল্প আর কোনো বিশ্বস্ত বন্ধু নেই। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশের মানুষের কাছে তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াতের কর্মীদেরকে জীবনের প্রকৃত সফলতা অর্জনের জন্য ও আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য কুরআন-হাদীস, ইসলামী সাহিত্য গভীরভাবে অধ্যয়ন, নিজের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনকে ইসলামের আলোকে তৈরির পাশাপাশি জান ও মাল দিয়ে আল্লাহর জমিনে ইকামাতে দ্বীনের বিজয়ে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালনে অগ্রগামী হতে হবে।
উক্ত সক্রিয় সহযোগী সমাবেশে শাহবাগ থানার কাটাবন, হাতিরপুল ও বাংলামটর এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীবৃন্দ সহ শতাধিক স্থানীয় সক্রিয় সহযোগী উপস্থিত ছিলেন।