বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, জনগণের অধিকার নিশ্চিত করাই গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরের বাংলাদেশের জনগণের অধিকার খর্ব করেছে। রাষ্ট্রের কাছে মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার চাইতে পারেনি। যখনই কেউ তার অধিকার আদায়ে কথা বলতে চেয়েছে তখনই আওয়ামী লীগ জনগণের কন্ঠরোধ করেছে। জামায়াতে ইসলামী জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগ প্রথমে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিক কেড়ে নিয়েছে এরপর জামায়াতে ইসলামীকে তারা নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে (আওয়ামী লীগকে) চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছ।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শারীরিক অসুস্থ ও মানসিক প্রতিবন্ধী এক হিন্দু বৃদ্ধের শারীরিক খোঁজ-খবর নিতে ও হুইল চেয়ার উপহার দিতে গিয়ে ড. মাসুদ এসব কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মী সহ ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আমাকে সহ বাউফল উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদেরকে আওয়ামী লীগ চেয়েছে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে। এজন্য তারা হামলা, মামলা, খূন, গুম, জুলুম, নির্যাতন এমনকি প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে বহু নেতাকে দন্ডও দিয়েছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়নি, যাবে না। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বাউফর বাসীর পাশে ছিল এবং থাকবে। ভবিষ্যতে যদি বাউফল বাসী জামায়াতে ইসলামীকে তাদের সেবক হিসেবে দায়িত্ব দেয়, তখন বাউফল উপজেলা হবে বাংলাদেশের একটি আদর্শ উপজেলা। বাউফলের কোন মানুষ জুলুমের শিকার হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচী বাস্তবায়নের সুযোগ জনগণ দিলে বাংলাদেশ হবে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র। যেখানে থাকবে না কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, থাকবে না দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি। বৈষম্যহীন বাংলাদেশের নেতৃত্বকে বিশ্ববাসী অনুসরণ করবে।
ড. মাসুদ বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরাই হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পদ দখল করেছে, মন্দির ভেঙ্গেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট করেছে। কিন্তু তারা চেয়েছে তাদের অপকর্ম জামায়াতে ইসলামীর উপর চাপিয়ে দিতে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সম্পদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মন্দির, বাড়িঘর পাহারা দিয়ে প্রমাণ করেছে জামায়াতে ইসলামীর হাতে দেশের সকল মানুষ নিরাপদ। আওয়ামী লীগ হিন্দুদেরকে সংখ্যলঘু বানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী বলছে সংখ্যালঘু কারো পরিচয় হতে পারে না, সবাই দেশের নাগরিক। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী বিবেচনায় রাজনীতি করে না। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি হচ্ছে কেবলই মানুষের সেবায়। তিনি দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠীর ভেদাভেদ ভুলে নির্বিঘ্নে জামায়াতে ইসলামীর নিরাপদ ছায়াতলে আসতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।