বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জননেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জাতিকে মেধাশূন্য করার সুদূর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চলছে। উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্র সমূহ করোনা পরবর্তি সময়ে প্রথমেই তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো খুলে দিয়েছে। অথচ আমাদের দেশে সরকার সম্পূর্ণ বিপরীত ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি বর্তমান সময়ে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো তাদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তাদের অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খুলে দিয়ে স্বাভাবিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
তিনি আজ সকালে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় সুবিধা বঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে স্কুল ড্রেস, শিক্ষা উপকরণ ও খাবার সামগ্রী বিতরণ কালীন সময়ে এ কথা বলেন। স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আবদুল জব্বার, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য যুবনেতা কামাল হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান, শাহীন আহমদ খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, মানব জাতিকে দিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রথম বাণী ছিলো ইকরা বা ‘পড়’। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আজ আমরা ছোট্ট সোনামণি ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্কুল ড্রেস তুলে দিতে এখানে এসেছি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছোট্ট শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে যারা সুবিধা বঞ্চিত ও অসচ্ছল সেই সব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটা প্রকল্প করে তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
ছোট্ট সোনামণিদের উদ্দেশ্যে ড. মাসুদ আরও বলেন, তোমাদেরকে পড়াশোনা করে জ্ঞানী হয়ে উঠতে হবে। দেশ ও সমাজকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আগামী প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, করোনার কারনে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। যেখানে করোনাকালীন সময়ে বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য জনসম্পৃক্ত সকল কার্যক্রম চলছে সেখানে শুধুমাত্র দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে রক্ষার জন্য স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দাবিতে তিনি সচেতন অভিভাবক মহলকে ভূমিকা রাখতে উদাত্ত আহবান জানান।