বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় পটুয়াখালী জেলা মডেল মসজিদ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে ১০ হাজারের অধিক নেতা কর্মি নিয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে লঞ্চঘাটে গিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত।

এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা আমীর, পটুয়াখালী-১ আসনের এমপি প্রার্থী সিনিয়র আইনজীবী নাজমুল আহসান , নায়বে আমির জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন হাওলাদার, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আল কায়ছারী, জেলা সহকারী সেক্রেটারি এবিএম সাইফুল্লাহ, পটুয়াখালী ৪ আসনে জাতীয় সংসদ পদপ্রার্থী অধ্যাপক মাওঃ মোঃ আবদুল কায়ুম, পটুয়াখালী ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আন নাহিয়ান। জেলা যুব বিভাগের সভাপতি বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ রফিকুল ইসলাম বাশার। জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি সাইদুর রহমান খান পাবেল। সদর উপজেলা আমীর- মাওলানা হাবিবুর রহমান পৌর আমির মাওলানা আবুল বাশারসহ উপজেলা আমির এবং জামায়াত নেত্রীবিন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে পটুয়াখালী জেলা আমীর পটুয়াখালী-১ আসনের এমপি প্রার্থী অধ্যাপক সিনিয়র আইনজীবী নাজমুল আহসান বলেন- অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে এই প্রথম জামায়াতে ইসলামী রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর দেশবাসী আশা করেছিল তারা সকল প্রকার জুলুম নির্যাতন থেকে রেহাই পাবে। যারা মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন তারা মুক্তি পাবে। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর ফাঁসির আসামীসহ অনেকেই মুক্তি পেলেও জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। তার মুক্তি না হওয়ায় দেশবাসী বিস্মিত ও হতবাক। সুতরাং খুব দ্রুত তাকে মুক্তি দিতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, আওয়ামী সরকার দলীয় লোকদের দ্বারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো সাক্ষ্য প্রদান করে। একজন সাক্ষী আদালতে বলেছেন যে, তিনি ৭ কিলোমিটার দূর থেকে এবং অপর আরেক সাক্ষী বলেছেন যে, তিনি ৩ কিলোমিটার দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। সাক্ষীদের এই বক্তব্য অবাস্তব ও হাস্যকর।
২০২৪ সালে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। দেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে। রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেফতারকৃত অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে অনেককে তৎক্ষণাৎ মুক্তি দেওয়া হয়। দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। জামায়াত স্বৈরশাসনামলে জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর স্বৈরশাসনমুক্ত বাংলাদেশে জামায়াত এখনো বৈষম্যের শিকার। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতারকৃত এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়।
সমাপনী বক্তব্য দেন পটুয়াখালী জেলা আমীর, পটুয়াখালী-১ আসনের এমপি প্রার্থী সিনিয়র আইনজীবী নাজমুল আহসান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। পরে জেলা নায়বে আমির জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন হাওলাদার দোয়ার মাধ্যমে সমাবেশ সমাপ্তি হয়েছে।