বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ও বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী শহীদদের রক্তের দাগ শুকোনোর পুর্বে এবং আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের সামনে রেখে যদি কেউ ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধার করতে চায় তাহলে তা এই সকল শহীদ ও আহতদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা হবে। আর বেঈমানী করলে এদেশের সচেতন জনতা বসে থাকবেনা বরং প্রতিদিনই ৫ আগস্ট এর মতো গণ অভ্যুত্থান তৈরি হবে।
শুক্রবার ৩০ আগস্ট রাজধানীর কেরাণীগঞ্জের সাহারা কমিউনিটি সেন্টারে বাউফল উন্নয়ন ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা দক্ষিণের আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, সাবেক শিবির নেতা এ.বি.এম কামাল হোসেন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, আবুল হোসেন, মোহাম্মদ আল আমিন এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান প্রমুখ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বাউফল বাসীর উদ্দেশ্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আগামী দিনের বাউফল কারো ব্যক্তির হাতের হবে না, বাউফল হবে জনগণের। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শুধুমাত্র বাউফলের ৬ জন ভাই শহীদ হয়েছেন এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত যে, বাউফলের সন্তানেরা শুধু বাউফলকেই রক্ষা করে না, তারা পুরো বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারে। বাউফলে আর কাউকে দুর্নীতি ও ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। আমাদের তরুণ ছাত্র সমাজ যতদিন সজাগ থাকবে ততদিন আর কেউ স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারবে না। ছাত্র জনতার মাধ্যমে ১৫ বছরের বিশাল জগদ্দল পাথর থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের দেশকে রক্ষা করেছেন। এবার বাউফলের ছাত্রসমাজ তাদের কাঙ্খিত বাউফল গড়তে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে।
মাও. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ছাত্র-জনতার অনেক ত্যাগ ও কোরবানির মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয় বারের মতো বিজয় অর্জন করেছি। তাই এদেশে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদের স্থান হবে না। নতুন বাংলাদেশকে গড়তে জামায়াতে ইসলামী সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এবার জনগণ তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে জামায়াতে ইসলামীকে বেছে নিবে ইনশাআল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের শাহাদাত কবুলিয়াত এবং আহত ও চিকিৎধীনদের আরোগ্য কামনা করে মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।